অব্যার্থ বর্ননা!

সৌদী রাজপরিবার বৃটেনের
দুটি ফুটবল ক্লাবে যত টাকা দান
করেছে, তার অর্ধেক পরিমান
টাকা দিয়ে যদি ফিলিস্তিনিদের
জন্য ভুগর্ভস্থ আশ্রয়কেন্দ্র
গড়ে তুলে দিতো,
তাহলে ইসরায়েলীদের হামলায়
এতোগুলো নিরপরাধ
ফিলিস্তিনি নিহত হতোনা।
মন্তব্যটি আমার না, জর্জ
গ্যালওয়ে নামক একজন বৃটিশ
সাংসদের।
ফিলিস্তিনের ছোট ছোট মুসলিম
বাচ্চাদের মায়ের কোল
থেকে তুলে নিয়ে বন্দুকের বেয়নেট
দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করছে মায়ের
সামনেই।
ভাবতে অবাক লাগে ইসলাম ধর্মের
খলিফা তথা মক্কা মদিনার খাদেম
দাবীদার সৌদীআরব পুর্ন সমর্থন
দিচ্ছে হানাদার ইসরায়েলীদের !
ফিলিস্তিনের পার্শ্ববর্তী মুসলিম
দেশগুলোর কোনো মন্তব্য নেই।
সর্বাধুনিক অস্ত্রের ক্ষমতাসম্পন্ন
ফিলিস্তিনের পার্শ্ববর্তী দেশ মিশর
কেনো চুপ হয়ে আছে?
তুরস্কের
ইসলামপন্থী নেতা এরদোগানেরই
বা ভুমিকা কি?
নির্বিচারে মুসলিম নারী ও শিশুদের
গলা কেটে হত্যা করতে অভ্যস্ত
আল্লাহর সিপাহী দাবীদার সেই
আইএসআইএল-এর সেনারা কোথায়?
তারা কেনো সিরিয়া থেকে ইসরায়েলে ঢুকে পড়ে জিহাদ
করছেনা? তাদের অত্যাধুনিক অস্ত্র ও
রকেট কেনো ইসরায়েলের
বিরুদ্ধে ব্যাবহৃত হচ্ছেনা?
সিরিয়ার মৃত সেনা সদস্যের
কলিজা ভক্ষনকারী এবং মা এবং ছেলেকে একসাথে জবাই
করা এই
সুন্নি জিহাদীরা কেনো ইসরায়েলের
দিকে একটি গুলিও নিক্ষেপ করেনি?
কেনোইবা কোরআনী শাষনের
খলিফা দাবীদার তালেবান
নেতা মোল্লা ওমর
কিম্বা বায়তুল্লাহ মাসুদ তাদের
বেপরোয়া আল কায়েদা বাহিনীর
একটা অংশকে ফিলিস্তিন
পাঠাচ্ছেনা?
বিশ্বের ৫৭ টা মুসলিম দেশ
নিয়ে গঠিত ও.আই.সি কি করছে?
মুসলিম বিশ্বের
২২টি ইসরায়েলবিরোধী দেশ
নিয়ে গঠিত আরব লীগের
ভুমিকা কি?
এমন হাজারো প্রশ্ন আছে কিন্ত
কোনো উত্তর নেই।
গত ২৭ ডিসেম্বর ২০০৮ গাজায়
হামাসকে শায়েস্তা করার
নামে ইসরাইল নিরীহ
ফিলিস্তিনিদের উপর যে নারকীয়
আগ্রাসন চালিয়েছে, হিটলারের
হলোকাষ্ট হত্যাযজ্ঞের
সাথে তুলনা করলে ভুল হবেনা।
গাজার চতুর্দিক থেকে ব্লক করে মুহুর্মুহু
হামলা চালায় নরপশুর দল।
পুরো গাজায় নেমে আসে ভয়াবহ
মানবিক বির্পযয়। ইসরাইল টানা ২২
দিনের নির্মম
গণহত্যা শেষে একতরফা যুদ্ধ
বিরতি ঘোষণা করে ১৭
জানুয়ারী ২০০৯। ১৯৬৭ সালে ৬
দিনের আরব-ইসরাইল
ফিলিস্তিনি যুদ্ধের পর গাজায় এটাই
সবচেয়ে ভয়াবহ ও দীর্ঘ হামলা । ২২
দিনব্যাপী ওই
ইসরাইলী অভিযানে বেসরকারী হিসাব
মোতাবেক সাধারণ মানুষ নিহত
হয়েছে প্রায় দুই হাজারেরও বেশি।
এদের এক-তৃতীয়াংশই শিশু। আহত
হয়েেছ ৫ হাজারের বেশি।
অনকেইে স্থায়ীভাবে পংগু
হয়ে গেছে। এ
অভিযানে ইসরায়েলী বাহিনী আকাশ,
মাটি, সমুদ্রসহ সবদিক থেকে নারকীয়
বোমার্বষণ এবং সাদা ফসফরাসসহ
রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে।
অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনিদের পালানোর
সব রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়।
ইসরায়েলের ঘনিষ্ট মিত্র
হোসনি মোবারকের
নির্দেশে মিশরও তাদের বর্ডার বন্ধ
করে দেয়।
২০১২ সালে একই তরিকায় আক্রমন
চালিয়ে প্রায় দুইশ
ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরায়েল।
নীরব দর্শকের ভুমিকায়
ছিলো জাতিসংঘ এবং ও.আই.সি।
মজলুম ফিলিস্তিনিদের
পক্ষে কথা বলার কেউ নেই।
পাশে দাঁড়িয়েছেন দুজন
শিয়া নেতা।
লেবাননের হিজবুল্লাহ
গেরিলা প্রধান হাসান নসরুল্লাহ
যিনি সরাসরি ইসরায়েলের
বিরুদ্ধে যুদ্ধের
ঘোষনা দিয়েছিলেন। এবং ইরানের
সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ
খোমেনী।
নিরীহ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের
পক্ষে সবচেয়ে দরদ
দিয়ে কথা বলেছেন এই দুই নেতা।
এবং নানাভাবে সাহায্য
সহযোগিতা করেছেন নিজ জাতির
পক্ষ থেকে।
ফিলিস্তিনিদের বাঁচার
লড়াইকে তারা সন্ত্রাসবাদ
আখ্যা দিচ্ছে। তাদের সাথে সহমত
পোষন করে ফিলিস্তিনিদের
ধ্বংসে সহযোগিতা করে যাচ্ছে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীরা
। বাংলাদেশের কিছু
মানবতাবাদী কলামিষ্ট তাদের
সমর্থন দিচ্ছে। তাদের মতামত
"ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার
আছে"
আফসোস লাগে !
১৯৭১ সালে পাক হানাদার
বাহিনীর কাছ
থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার
লড়াইকে কি বলে আখ্যায়িত করবেন
তারা?
তবে ইসরায়েলের ধ্বংস অনিবার্য।
ইরান সিরিয়া লেবানন
একযোগে হামলা চালাতে পারে যে-
কোনোদিন। অপেক্ষা শুধু সময়ের।
আজ ইসরায়েলের এ
কথা মনে রাখতে হবে যে বিশ্বজয়ী রোমান
সাম্রাজ্য কিংবা বাগদাদের
আব্বাসীয় সাম্রাজ্য পতনের আগে এ
রকমই বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল।
কিন্তু অন্ধ হলেই তো আর প্রলয় বন্ধ
থাকে না। রোমান সাম্রাজ্য
খানখান হয়ে গিয়েছিল রোমানদের
চোখে অসভ্য বর্বর ভ্যান্ডাল, গথ
প্রভৃতি জার্মানিক জাতিগুলোর
আক্রমণে।
আরবের বেদুইনরা তছনছ করে দিয়েছিল
বাইজান্টাইন সাম্রাজ্য।
মঙ্গোলিয়ার যাযাবররাই ছারখার
করে দিয়েছিল আব্বাসীয় রাজত্ব।
ইতিহাস কখনো কখনো শক্তিমানের
থাকে সত্য। কিন্তু কোনো শক্তিমানই
চিরঞ্জীব নন।
তাই মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিম দেশগুলোর
মধ্যে মানবতার যে ধ্বংস চলছে,
তা বিশ্বমানবতার জাগরণের প্রসব
বেদনা হিসেবেই চিহ্নিত
হবে ইতিহাসে।
সেই ইতিহাসকে স্বাগতম..........
ফেসবুকে আমি

Comments

Archive

Contact Form

Send